রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আসলে সরকার একটা অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনা সমস্যাটা কীভাবে সমাধান করবে, সেটা তাদের চিন্তার মধ্যে নাই। করোনার মূল প্রবাহ (পিক টাইম) তো আসবে এ মাসে বা তার পরের মাসে। যখন এটা গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। সেজন্য একটা সুস্থ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি বাজেট সংক্রান্ত লেখাটা পড়েন, তাতে কিছুটা দিক-নির্দেশনা আছে। এটা জনগণ দাবি উঠানো ছাড়া, আওয়াজ উঠানো ছাড়া বাংলাদেশে কোনো দিন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তো নয়ই কোনো ক্ষেত্রেই উন্নতি হবে না। সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্য আন্দোলনটাকে শক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।’
করোনা থেকে সেরে উঠতে ওষুধের খরচের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জানান, তার করোনা চিকিৎসায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ৮২ হাজার লিটার অক্সিজেন কনজ্যুইম করেন তিনি। তার ফুসফুসে ৮০ ভাগ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল।
একাত্তরের পর এখন মানুষের অনেক ভালোবাসা পাচ্ছেন জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যে এতজনে দোয়া করেছেন, তা অকল্পনীয়। মানুষ যে এত ভালোবাসতে পারে, একাত্তরের যুদ্ধে পেয়েছিলাম ভালোবাসা, আর এখন পাচ্ছি।’
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, আপনাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে ডা. জাফরুল্লাহর একটু সমস্যা হবে। যতটা কম কথা বলা যায়, সেটাই হলো মূল লক্ষ্য।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাস থেকে রোগ মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গত ১৩ জুন গণস্বাস্থ্যের কিটে পরীক্ষা করে তার করোনার ফল নেগেটিভ আসে।
এর আগে ২৫ মে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করেছে।
এরপর থেকে দেশের মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি। যদিও তার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিট এখন সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পায়নি।